বর্তমান সময়ে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দরজা উম্মোচন হয়েছে মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতার উপর নির্ভর করে।
মানুষ এখন খুব সহজেই ভালো পরিমানের অর্থ উপার্জন করছে অনলাইন থেকে। অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল এখন দেশের লাখ লাখ মানুষ।
চাইলেই খুব সহজেই আপনিও ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই যদি আপনি চান যে, আপনিও অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন।
এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন। এবং সেরা ৫টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যদি আপনি এই সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সহযোগিতা করবে।
(How to earn money Online) কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেনঃ
(Online Income) অনলাইন ইনকাম এর জন্য আপনার বিশেষ তেমন কিছুরই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা এবং ইচ্ছে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো একটি কাজে পারদর্শী হয়ে সেটা থেকে আয় করতে পারেন। আপনি ছাত্র, চাকরিজীবী, ছেলে মেয়ে যাই হন না কেন, আপনিও আয় করতে পারবেন এই সেক্টর থেকে।
আপনি আপনার পড়ালেখার খরচ কিংবা পকেট খরচ যদি আপনি নিজেই উপার্জন করতে পারেন, তাহলে কি বিষয়টি খারাপ হবে? প্রতিদিন তো অনেক সময় YouTube, Facebook, Twitter কিংবা অন্যান্য social media তে ব্যায় করেন।
আপনি চাইলে এই সময়গুলো শুধু নিউজফিড আর চ্যাটিং এ নষ্ট না করে সেখান থেকেও ইনকাম করা সম্ভব।শুধু প্রয়োজন কাজ করার আগ্রহ, একটি ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ। কিভাবে কোথায় কি করবেন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অনলাইন থেকে ইনকাম এর সেরা ৫টি উপায়ঃ(Top 5 Ways to Earn Online:)
ব্লগিং(Blogging) অনলাইন থেকে ইনকামের বেশ পুরাতন একটি মাধ্যম কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা প্রতি মাসেই আয় করা সম্ভব।
ব্লগিং(Blogging) মূলত একটি ডিজিটাল News paper এর মতো। আপনি আপনার ইচ্ছে মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন। যার ওই বিষয়টি জানা দরকার সে এসে পড়বে।
এইযে আপনি এখন এই লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। আশাকরি বুঝতেই পারছেন বিষয়টি। লেখালেখিতে যদি আপনার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনি খুব তারাতারি এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী, বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং লিখলে তা সবথেকে বেশি কাজে আসবে।
তাই আপনি যে (topic) এর উপর বেশি পারদর্শী সে বিষয়েই কাজ করতে পারেন। (topic) টপিক বলতে মূলত কিছু নির্দিষ্ট বিভাগ বোঝানো হয়েছে যেমন, টেকনোলজি, ভ্রমন, খেলাধুলা, আইন, জীবনী ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ খেলাধুলা নিয়ে আপনি অনেক কিছু জানেন বা অনেক অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখতে পারেন।
এখন মূল বিষয় হচ্ছে আপনি কোথায় গিয়ে লেখালিখি করবেন। এইক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি নিজে একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। অনেক সহজে এবং কোনো খরচ ছাড়াই Blog সাইট বানানো যায়। তবে যে ফ্রি সাইটগুলো আছে সেগুলোকে মানুষ একটু কম বিশ্বাস করে।
তাই আমাদের মতে প্রথমে কিছু টাকা ব্যয় করে ডোমেন কিনে নিয়ে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি (Blogging)সাইট তৈরি করুন। এরপর সেখানে লেখালেখি শুরু করুন। দেখবেন অনেক ভালো ফল পাচ্ছেন।
তবে এসবের পাশাপাশি যদি আপনার (Digital Marketing) ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা হলেও ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব দ্রুত আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম বহুগুণে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে ইনকাম করে থাকে। চাইলেই আপনিও কিন্তু ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করা শুরু করতে পারেন।
ইউটিউব ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথম দিকে অনেক বড় বড় ইউটিউবার তাদের ইউটিউব যাত্রা শুরু করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এবং সফল হওয়ার পরে তারা অনেক দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।
আওনিও পারেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিকে ব্যবহার করে ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করতে। এই ভিডিও আপলোড করার জন্য দরকার একটি ইউটিউব চ্যানেল। যা আপনি আপনার মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে তৈরি করে নিতে পারবেন একজন পারদর্শীর মাধ্যমে। এরপর নিয়মিত মান সম্মত ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন।
তারপরে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ন্যূনতম ভিউ ও টাইম কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই বা আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন হয়ে গেলে প্রতিটা ভিডিওতে মনিটাইজেশন চালু করে নিলেই আপনার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। মনে করেন কোনো একটা কোম্পানি তার কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিও তে দেয়ার জন্য বললো। যদি আপনি বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করেন তাহলে তারা আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ি পেমেন্ট করবে।
অনলাইনে ভিডিও দেখে তাকা ইনকাম করার বিষয়টি হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্তমানে এমন কিছু website আছে যেখানে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য।
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার মতো ভূয়া বা স্ক্যাম সাইটও রয়েছে অনেক। যারা কি না আপনাকে দিয়ে তাদের ভিডিও দেখিয়ে নেবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনাকে কোনো পেমেন্ট করবে না। আপনাকে এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাচঁতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে অতিরিক্ত পেমেন্ট এর কথা বলছে বা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলে তাদের ওয়েবসাইটে ইনকাম এর কথা বলছে, তখনই সেই ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো করে দেখে শুনে যদি সত্যিই আসল বলে মনে হয় তখন কাজ শুরু করবেন; অন্যথায় নয়।
বর্তমান জেনারেশনে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম যাদের হাতে স্মার্টফোন নেই। আবার অনেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের দামি ক্যামেরাও দেখা যায় । আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা এই মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনাকে শুধু ছবি তুলতে হবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের। সেটা আপনি আপনা ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন আবার মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর একটু এডিট করে কিংবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন website এ আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য $50 থেকে শুরু করে $500 পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
যদি আপনার ফটো এডিটিং(Photo editing) এর বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারনা থেকে থাকে, তাহলে আপনি অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। (Illustrator)ইলাস্ট্রেটর (Photoshop)ফটোশপ এর মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক গুন বাড়ানো যায়।
ছবি বিক্রির জন্য আপনি অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে 500px, Shutterstock, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং এসব ওয়েবসাইট থেকে বেশি পে করে থাকে।
এসব ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি যে ছবিগুলো বিক্রি করবেন, সেই ছবিগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। গ্রাফিক ডিজাইনে এইসব ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন ব্যানারে, বইয়ের কাভারে এইসব ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষকেই দেখতে পাবেন যারা বাড়িতে গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে অনেকে প্রতি মাসে ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু এভাবে অনেক অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।
অন্যদিকে কোচিং সেন্টার এর জায়গার বাবস্থা করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। এজন্য বর্তমানে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা হচ্ছে অনলাইন টিচার (Online Teacher) কনসেপ্ট।
আপনি চাইলেই ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রদের পড়িয়ে অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে বর্তমান বিশ্বে ৫০ % শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
বর্তমানে এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে আমাদের দেশেও যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানো হয়ে। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল (10 minutes school) অন্যতম।
অনলাইনে টাকা আয় করার সেরা ৫টি উপায়ঃ
বর্তমান সময়ে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দরজা উম্মোচন হয়েছে মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতার উপর নির্ভর করে।
মানুষ এখন খুব সহজেই ভালো পরিমানের অর্থ উপার্জন করছে অনলাইন থেকে। অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল এখন দেশের লাখ লাখ মানুষ।
চাইলেই খুব সহজেই আপনিও ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই যদি আপনি চান যে, আপনিও অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন।
এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন। এবং সেরা ৫টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যদি আপনি এই সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সহযোগিতা করবে।
(How to earn money Online) কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেনঃ
(Online Income) অনলাইন ইনকাম এর জন্য আপনার বিশেষ তেমন কিছুরই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা এবং ইচ্ছে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো একটি কাজে পারদর্শী হয়ে সেটা থেকে আয় করতে পারেন। আপনি ছাত্র, চাকরিজীবী, ছেলে মেয়ে যাই হন না কেন, আপনিও আয় করতে পারবেন এই সেক্টর থেকে।
আপনি আপনার পড়ালেখার খরচ কিংবা পকেট খরচ যদি আপনি নিজেই উপার্জন করতে পারেন, তাহলে কি বিষয়টি খারাপ হবে? প্রতিদিন তো অনেক সময় YouTube, Facebook, Twitter কিংবা অন্যান্য social media তে ব্যায় করেন।
আপনি চাইলে এই সময়গুলো শুধু নিউজফিড আর চ্যাটিং এ নষ্ট না করে সেখান থেকেও ইনকাম করা সম্ভব।শুধু প্রয়োজন কাজ করার আগ্রহ, একটি ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ। কিভাবে কোথায় কি করবেন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
অনলাইন থেকে ইনকাম এর সেরা ৫টি উপায়ঃ(Top 5 Ways to Earn Online:)
১। (Blogging) ব্লগিং করে ইনকামঃ
ব্লগিং(Blogging) অনলাইন থেকে ইনকামের বেশ পুরাতন একটি মাধ্যম কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা প্রতি মাসেই আয় করা সম্ভব।
ব্লগিং(Blogging) মূলত একটি ডিজিটাল News paper এর মতো। আপনি আপনার ইচ্ছে মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখতে পারবেন। যার ওই বিষয়টি জানা দরকার সে এসে পড়বে।
এইযে আপনি এখন এই লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। আশাকরি বুঝতেই পারছেন বিষয়টি। লেখালেখিতে যদি আপনার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনি খুব তারাতারি এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে বেশি পারদর্শী, বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং লিখলে তা সবথেকে বেশি কাজে আসবে।
তাই আপনি যে (topic) এর উপর বেশি পারদর্শী সে বিষয়েই কাজ করতে পারেন। (topic) টপিক বলতে মূলত কিছু নির্দিষ্ট বিভাগ বোঝানো হয়েছে যেমন, টেকনোলজি, ভ্রমন, খেলাধুলা, আইন, জীবনী ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ খেলাধুলা নিয়ে আপনি অনেক কিছু জানেন বা অনেক অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখতে পারেন।
এখন মূল বিষয় হচ্ছে আপনি কোথায় গিয়ে লেখালিখি করবেন। এইক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি নিজে একটি ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। অনেক সহজে এবং কোনো খরচ ছাড়াই Blog সাইট বানানো যায়। তবে যে ফ্রি সাইটগুলো আছে সেগুলোকে মানুষ একটু কম বিশ্বাস করে।
তাই আমাদের মতে প্রথমে কিছু টাকা ব্যয় করে ডোমেন কিনে নিয়ে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি (Blogging)সাইট তৈরি করুন। এরপর সেখানে লেখালেখি শুরু করুন। দেখবেন অনেক ভালো ফল পাচ্ছেন।
তবে এসবের পাশাপাশি যদি আপনার (Digital Marketing) ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা হলেও ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব দ্রুত আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম বহুগুণে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
২। (YouTubeing) ইউটিউবিং করে ইনকামঃ
আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে ইনকাম করে থাকে। চাইলেই আপনিও কিন্তু ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে টাকা আয় করা শুরু করতে পারেন।
ইউটিউব ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথম দিকে অনেক বড় বড় ইউটিউবার তাদের ইউটিউব যাত্রা শুরু করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। এবং সফল হওয়ার পরে তারা অনেক দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।
আওনিও পারেন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিকে ব্যবহার করে ইউটিউব এর জন্য ভিডিও তৈরি করতে। এই ভিডিও আপলোড করার জন্য দরকার একটি ইউটিউব চ্যানেল। যা আপনি আপনার মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে তৈরি করে নিতে পারবেন একজন পারদর্শীর মাধ্যমে। এরপর নিয়মিত মান সম্মত ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন।
তারপরে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ন্যূনতম ভিউ ও টাইম কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই বা আবেদন করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন হয়ে গেলে প্রতিটা ভিডিওতে মনিটাইজেশন চালু করে নিলেই আপনার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। মনে করেন কোনো একটা কোম্পানি তার কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন আপনার ভিডিও তে দেয়ার জন্য বললো। যদি আপনি বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করেন তাহলে তারা আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ি পেমেন্ট করবে।
৩। (Earn money by watching videos) ভিডিও দেখে টাকা ইনকামঃ
অনলাইনে ভিডিও দেখে তাকা ইনকাম করার বিষয়টি হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্তমানে এমন কিছু website আছে যেখানে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য।
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার মতো ভূয়া বা স্ক্যাম সাইটও রয়েছে অনেক। যারা কি না আপনাকে দিয়ে তাদের ভিডিও দেখিয়ে নেবে কিন্তু পরবর্তীতে আপনাকে কোনো পেমেন্ট করবে না। আপনাকে এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাচঁতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে অতিরিক্ত পেমেন্ট এর কথা বলছে বা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলে তাদের ওয়েবসাইটে ইনকাম এর কথা বলছে, তখনই সেই ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো করে দেখে শুনে যদি সত্যিই আসল বলে মনে হয় তখন কাজ শুরু করবেন; অন্যথায় নয়।
৪। (Online Photo Sell) অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকামঃ
বর্তমান জেনারেশনে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম যাদের হাতে স্মার্টফোন নেই। আবার অনেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের দামি ক্যামেরাও দেখা যায় । আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা এই মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনাকে শুধু ছবি তুলতে হবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের। সেটা আপনি আপনা ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন আবার মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর একটু এডিট করে কিংবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন website এ আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য $50 থেকে শুরু করে $500 পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
যদি আপনার ফটো এডিটিং(Photo editing) এর বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারনা থেকে থাকে, তাহলে আপনি অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। (Illustrator)ইলাস্ট্রেটর (Photoshop)ফটোশপ এর মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক গুন বাড়ানো যায়।
ছবি বিক্রির জন্য আপনি অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে 500px, Shutterstock, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং এসব ওয়েবসাইট থেকে বেশি পে করে থাকে।
এসব ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি যে ছবিগুলো বিক্রি করবেন, সেই ছবিগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। গ্রাফিক ডিজাইনে এইসব ছবি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন ব্যানারে, বইয়ের কাভারে এইসব ছবি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫। (Online Teacher) অনলাইনে পড়িয়ে ইনকামঃ
আমাদের আসে পাশে অনেক মানুষকেই দেখতে পাবেন যারা বাড়িতে গিয়ে অথবা কোনো কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। এভাবে পড়িয়ে অনেকে প্রতি মাসে ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। কিন্তু এভাবে অনেক অর্থ যাতায়াতেই চলে যায়।
অন্যদিকে কোচিং সেন্টার এর জায়গার বাবস্থা করাও একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। এজন্য বর্তমানে যে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা হচ্ছে অনলাইন টিচার (Online Teacher) কনসেপ্ট।
আপনি চাইলেই ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রদের পড়িয়ে অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে বর্তমান বিশ্বে ৫০ % শিক্ষক অনলাইনে শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
বর্তমানে এরকম বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে আমাদের দেশেও যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে পড়ানো হয়ে। এর মধ্যে টেন মিনিট স্কুল (10 minutes school) অন্যতম।
আরও পড়ুনঃ
ছবি বিক্রি করে ইনকামঃ
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়?
Recent Post