আইফোন ১৬ এর আকর্ষণীয় ৭টি ফিচার

যে ৭ কারণে আইফোন ১৬(IPhone 16) কিনতে পারেনঃ

অ্যাপল(Apple) আইফোন প্রতি বছরই নতুন সংস্করণ নিয়ে আসে। কী থাকছে এই নতুন সংস্করণে তা দেখোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন প্রযুক্তিপ্রেমীরাও। অবসেশে অ্যাপল নিয়ে এসেছে আইফোন ১৬(iPhone 16), ১৬ প্লাস (16 Plus), ১৬ প্রো (16 Pro) and ১৬ প্রো ম্যাক্স (16 Pro Max)। আইফোন ১৬(IPhone 16) ফোনটি দেখতে আইফোন ১৫(iPhone 15) এর মতোই। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়েছে এর ডিজাইনে। আজকে আলোচনা করবো, যে ৭টি কারণে নতুন এই সংস্করণ নিতে পারেন আপনার কাছে থাকা আইফোনটি পরিবর্তন করে।

যে ৭টি ফিচার থাকছে নতুন সংস্করণেঃ

১. (Advanced technology camera) উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তিঃ

আইফোন ১৬ সিরিজ (iPhone 16 series) এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে এর নতুন ক্যামেরা সিস্টেম(Camera system)। অ্যাপল এবার ক্যামেরায় আরও বৃহৎ অ্যাপারচার উন্নত সেন্সর এবং লেন্সের উন্নয়ন এনেছে। যার ফলে আরও ভালো হবে ছবির গুণমান।

নাইট ফটোগ্রাফিকে নতুন এক অবস্থানে নিয়ে যাবে কারন, কম আলোতেও পরিষ্কার ছবি তুলতে সক্ষম এই ক্যামেরা। ছবির ডিটেইলস এবং কালারকে আরও উন্নত করে তুলবে নতুন ৫এক্স অপটিক্যাল জুম এবং উন্নত এআই ফিচার বিশিষ্ট এই ক্যামেরা।

২. (Action button) অ্যাকশন বাটনঃ

আইফোন ১৫ প্রোর (iPhone 15 Pro) মতো ১৬ মডেলের ফোনগুলোতেও থাকছে একটি অ্যাকশন বাটন, যা customize করা সম্ভব। নিজের পছন্দ অনুযায়ী এই বাটনের মাধ্যমে নোটিফিকেশন সাইলেন্ট বা ক্যামেরা চালু করার মতো আরও বেশ কিছু কাজ করতে পারবেন।

৩. (Promotion display) প্রোমোশন ডিসপ্লেঃ

আইফোন ১৬ সিরিজ (iPhone 16 series) এ রয়েছে 120 hertz প্রোমোশন ডিসপ্লে যা স্ক্রলিং ও অ্যানিমেশনকে আরও অনেক স্মুথ করেছে। যার ফলে গেম খেলা ও ভিডিও দেখা সহ সাধারণ ব্যবহারের পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট দেখা যায় এখনও অধিকাংশ ফোনের মধ্যে। কিন্তু আইফোন ১৬(iPhone 16) এর রিফ্রেশ রেট আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে করবে আরও দারুণ ও আকর্ষণীয়।

৪. (Bionic chip) শক্তিশালী বায়োনিক চিপঃ

অ্যাপল এর নতুন A18 বায়োনিক চিপের জন্য আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) এবং ১৬ প্রো ম্যাক্স (16 Pro Max) হয়েছে আরও বেশি শক্তিশালী। এই চিপ শুধু ফোনের গতি বাড়ায় না, বরং ব্যাটারি ব্যাকআপেও(battery backup) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যার ফলে ভিডিও এডিটিং, গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং এর মতো ভারী কাজগুলোও আরও সহজে ও দ্রুত করা সম্ভব।

৫. (Battery performance) উন্নত ব্যাটারি পারফরম্যান্সঃ

আইফোন((iPhone) ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাটারি লাইফ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আইফোন ১৬ সিরিজ (iPhone 16 series) এক্ষেত্রে আরও বেশ কিছুদুর এগিয়ে। নতুন চিপ ও অপটিমাইজড পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (power management) এর কারণে ফোনের ব্যাটারি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। (iPhone 16 Pro) মডেলগুলো ব্যবহারকারীরা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিও দেখতে বা গেম খেলতে পারবেন চার্জ নিয়ে কোনরকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই।

৬. (New design and materials) নতুন ডিজাইন ও ম্যাটেরিয়ালঃ

আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) এবং প্রো ম্যাক্সে Apple টাইটানিয়াম ফ্রেম ও নতুন ডিজাইন ব্যবহার করেছে। যার ফলে ফোনটি আরও হালকা ও মজবুত হয়েছে আগের তুলনায়। টেকসই ম্যাটেরিয়াল এবং প্রিমিয়াম ডিজাইন (Premium design) এর কারনে ফোনটির লুক ও ফিল মিলিয়ে হয়েছে আরও দারুন ও আকর্ষণীয়।

৭. (Camera control button) ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনঃ

ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করার জন্য আইফোন ১৬ সিরিজে (iPhone 16 series) নতুন ভাবে যুক্ত করা হয়েছে একটি ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটন। এটি নতুন ভাবে ফিজিক্যাল বাটন হিসেবে কাজ করে ছবি তোলার সুযোগকে আরও দ্রুত দেয়। এর মাধ্যমে ফোকাস লক শাটার কন্ট্রোল সহ বিভিন্ন মোডে সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ

iPhone 16 এর দাম কত বাংলাদেশে?

বাংলাদেশে আইফোন ১৬ কবে আসবে?

আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স