সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) এর হত্যার ঘটনা রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট পুলিশ। এ ঘটনার চাঞ্চল্যকর খবর পেয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। (১০ নভেম্বর) রোববার দুপুর বেলা সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ রফিকুল ইসলাম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর মুনতাহার বাবা এই মর্মে থানায় একটি জিডি করেন যে, তার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মারজিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের সূত্র ধরে। তিনি একপর্যায়ে হত্যার সাথে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শামিমা বেগম জানান, গত ৩ নভেম্বর(রোববার) সন্ধ্যায় তাদের ঘরে শিশু মুনতাহাকে বস্তাচাপা দিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর পাশে ডোবায় কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা হয় শিশুটির মৃতদেহ। পরে তার মা ঘটনাকে ভিন্নরূপে মোড় দেওয়ার জন্য, রোববার ভোরে মৃতদেহটি শিশুটির বাড়ির পাশে ফেলে আসার জন্য চলে যান। এমন্তবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে তিনি আটকা পরেন। ধরা পরে যাওয়া এই নারীর নাম আলিফজান (৫৫)। বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের কানাইঘাট সদর উপজেলার বাসিন্দা এই আলিফজান (৫৫)।
সময় সংবাদকে মাহবুব আলম (পুলিশ সুপার) বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার কারনে যাদের আটক করেছি এরা ছাড়াও আরও কেউ জড়িত আছে কি না এই ঘটনার সঙ্গে তা তদন্ত করে খুজে বের করার চেষ্টা করছি, এরই অনুসন্ধানে একযোগে কাজ করছে আমাদের বিভিন্ন দল।
এদিকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া পাঁচ বছরের কন্যাশিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন এর মৃতদেহ দেখতে বাড়িতে জমা হয় আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। একই গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে শিশু মুনতাহা। মুনতাহাকে ফিরে পেতে অধীর আগ্রহ এবং অপেক্ষায় ছিলেন বাবা-মাসহ তার স্বজনরা। সে ফিরলো কিন্তু জীবিত নয় লাশ হয়ে।
জানা যায়, শিশু মুনতাহা নিখোঁজ হয়েছিলো (গত ৩ নভেম্বর) বিকেলে গ্রামের নিজ বাড়ির থেকে।
অবশেষে (১০ নভেম্বর) রোববার ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, সরকারি জমিতে বসবাস করেন দরিদ্র আলিফজান। শিশু মুনতাহার পরিবারের সঙ্গে গড়ে উঠেছিলো সহানুভূতির সম্পর্ক। আলিফজানের মেয়ে মারজিয়া প্রতিনিয়ত মুনতাহাকে পড়াতো। শিশু মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে। ফেসবুকে পোস্ট করলে সেই পোস্ট এর কমেন্ট এ আসে হুমকি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী আলিফজানসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আলিফজানের বাড়িসহ জড়িতদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
সিলেটের কানাইঘাটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) এর হত্যার ঘটনা রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট পুলিশ। এ ঘটনার চাঞ্চল্যকর খবর পেয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশ ৬জনকে আটক করেছে বলে জানা যায়। (১০ নভেম্বর) রোববার দুপুর বেলা সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ রফিকুল ইসলাম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর মুনতাহার বাবা এই মর্মে থানায় একটি জিডি করেন যে, তার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মারজিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের সূত্র ধরে। তিনি একপর্যায়ে হত্যার সাথে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শামিমা বেগম জানান, গত ৩ নভেম্বর(রোববার) সন্ধ্যায় তাদের ঘরে শিশু মুনতাহাকে বস্তাচাপা দিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর পাশে ডোবায় কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা হয় শিশুটির মৃতদেহ। পরে তার মা ঘটনাকে ভিন্নরূপে মোড় দেওয়ার জন্য, রোববার ভোরে মৃতদেহটি শিশুটির বাড়ির পাশে ফেলে আসার জন্য চলে যান। এমন্তবস্থায় গ্রামবাসীর হাতে তিনি আটকা পরেন। ধরা পরে যাওয়া এই নারীর নাম আলিফজান (৫৫)। বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের কানাইঘাট সদর উপজেলার বাসিন্দা এই আলিফজান (৫৫)।
সময় সংবাদকে মাহবুব আলম (পুলিশ সুপার) বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার কারনে যাদের আটক করেছি এরা ছাড়াও আরও কেউ জড়িত আছে কি না এই ঘটনার সঙ্গে তা তদন্ত করে খুজে বের করার চেষ্টা করছি, এরই অনুসন্ধানে একযোগে কাজ করছে আমাদের বিভিন্ন দল।
এদিকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া পাঁচ বছরের কন্যাশিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন এর মৃতদেহ দেখতে বাড়িতে জমা হয় আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ। একই গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে শিশু মুনতাহা। মুনতাহাকে ফিরে পেতে অধীর আগ্রহ এবং অপেক্ষায় ছিলেন বাবা-মাসহ তার স্বজনরা। সে ফিরলো কিন্তু জীবিত নয় লাশ হয়ে।
জানা যায়, শিশু মুনতাহা নিখোঁজ হয়েছিলো (গত ৩ নভেম্বর) বিকেলে গ্রামের নিজ বাড়ির থেকে।
অবশেষে (১০ নভেম্বর) রোববার ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, সরকারি জমিতে বসবাস করেন দরিদ্র আলিফজান। শিশু মুনতাহার পরিবারের সঙ্গে গড়ে উঠেছিলো সহানুভূতির সম্পর্ক। আলিফজানের মেয়ে মারজিয়া প্রতিনিয়ত মুনতাহাকে পড়াতো। শিশু মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে। ফেসবুকে পোস্ট করলে সেই পোস্ট এর কমেন্ট এ আসে হুমকি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটি ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রতিবেশী আলিফজানসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা আলিফজানের বাড়িসহ জড়িতদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।
Recent Post